সুদীপ চন্দ ও রানা চক্রবর্তী, কলকাতা : অনবদ্য শুরু, মাঝে হতাশা, শেষ জয়ের হাসি। ডার্বি জয়তে যেন লুকিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গলের প্রাণশক্তি। শুরুটা ভালো হলেও ইস্টবেঙ্গলকে প্রবল চিন্তায় রাখল রক্ষণ ভাগ। এ দিন কলকাতার যুবভারতী স্টেডিয়ামে প্রবল বৃষ্টিতে শুরু হল ম্যাচ। দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ও গোকুলম কেরালা এফসি। ভয় ধরিয়ে জয়। গোকুলমকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত চেয়েছিলেন, গ্যালারিতেও জয় ইস্টবেঙ্গল ধ্বনি শুনতে। এর জন্য মাঠেও অনবদ্য একটা পারফরম্যান্স প্রয়োজন ছিল।
ইস্টবেঙ্গলের কাছে এই ম্যাচটা যেন বদলারও ছিল। ২০১৯ সালে ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল গোকুলম কেরালা এফসি। সে বার সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকেই হারিয়েছিল তারা। এ বার কোয়ার্টার ফাইনালে দেখা। বদলার ম্যাচ জিতে দীর্ঘ চার বছর পর ডুরান্ডের সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের শুরুতেই লাল-হলুদ গ্যালারিতে ব্যাপক আনন্দ। কর্নার থেকে অনবদ্য বিল্ড আপ হয়। বোরহা-সিভেরিও হয়ে এলসে। ৪০ সেকেন্ডে প্রথম গোল করেন জর্ডান, চমৎকার হেডে তিনি গোকুলম গোলকিপারকে পরাস্ত করেন, ভারতীয় ফুটবলে তাঁর প্রথম গোল। মাত্র ৪০ সেকেন্ডেই এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল।
প্রথমার্ধেও রক্ষণ ভাগ বেশ কয়েক বার ভয় ধরিয়েছে। ৪১ মিনিটে লাল-হলুদ রক্ষণের ভুল বোঝাবুঝি। গোকুলম কেরালা ক্যাপ্টেন অ্যালেক্সের জোরালো শট, অনবদ্য সেভ করেন গোলরক্ষক প্রভসুখন গিল। এক গোলে এগিয়ে থাকায় যেন বেশি স্বস্তিতে ছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে তারই ফল ভুগতে হল। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে লম্বা বলে হেডে গোল করে গোকুলামের হয়ে খেলায় সমতা ফেরান বৌবা। সমতা ফিরিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে প্রবল চাপে ফেলে গোকুলম। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে সিভেরিওর জায়গায় ক্লেটন সিলভাকে নামায় ইস্টবেঙ্গল। এরপরই আক্রমণে ধার বাড়ে। চাপের কারণেই ভুল গোকুলম কেরালার।
৭৭ মিনিটে ফের লিড নেয় ইস্টবেঙ্গল। সাউল ক্রেসপো হেডের চেষ্টা করলেও অনেক নীচু বল। তিনি সেলিব্রেশনে মাতলেও দেখা যায় সেটি বৌবার আত্মঘাতী গোল। ২৯ অগস্ট সেমিফাইনালে যুবভারতীতে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল।