পরাজিত হলেও আত্মসমর্পণ করেননি, সেই ঐতিহাসিক লড়াইয়ের ১৬৮ তম বছর
১৬৮ তম বছর

অভীক পুরকাইত- প্রতিবছরের মত এ বছরও হুল দিবস পালিত হলো বর্ধমানে ।

সাঁওতালিতে ‘হুল’-র অর্থ বিদ্রোহ।
১৮৫৫ সালের ৩০ জুন সিধু মুর্মু ও কানু মুর্মুর (সিধু-কানু) ডাকে ইংরেজদের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সাঁওতাল যুবকরা।প্রায় সাত মাস ধরে যে লড়াই চলেছিল।ইংরেজের পাশাপাশি স্থানীয় জমিদার ও মহাজনদের সাঁওতালিদের ওপর চালানো জোর-জুলুম ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে তরুণদের রুখে দেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন সিধু-কানু। শেষমেশ প্রায় মাসসাতেক পর সাঁওতালরা পরাজিত হলেও আত্মসমর্পণ করেননি। বলা ভাল, ভারতের স্বাধীনতা ইতিহাসের পথে এক লড়াইয়ে নিশান রেখেছিলেন। সেই ঘটনাক্রমে স্মরণ করেই ৩০ জুন পালন করা হয় হুল দিবস।

১৬৮ তম হুল দিবস পালিত হল বর্ধমানে।

আদিবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে বর্ধমানের উৎসব ময়দান থেকে একটি পদযাত্রা শুরু হয়ে বর্ধমান সংস্কৃত লোকমঞ্চ সামনে সিধু কানু মূর্তির পাদদেশে এসে পদযাত্রা শেষ হয়।

পথেযাত্রা শেষে সিধু কানু মূর্তিতে মাল্যদান করলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস আদিবাসী শাখা সভাপতি দেবু টুডু সহ অন্যান্যরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × 3 =